সর্বশেষ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

সিলেটে সমাজ সেবা অধিদফতরে চার তরুণীর আত্মহত্যার চেষ্টা

সিলেটের ছোটমণি নিবাসে দুই মাসের শি’শু হ’ত্যার ঘটনায় এখনো মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এর মাঝেই সমাজ সেবা অধিদফতর পরিচালিত সামাজিক প্রতিব’ন্ধী মে’য়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের চার তরুণী নিজের হাত কে’টে আত্মহ’ত্যার চেষ্টা করেছেন। পরে তাদেরকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, চার তরুণীর ওপর নি’র্যা’তনের কারণে তারা আত্মহ’ত্যার পথ বেঁচে নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দুপুর ২ টার দিকে সিলেটের সমাজ সেবা অধিদফতরের সামাজিক প্রতিব’ন্ধী মে’য়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র খাদিম নগরে এ ঘটনা ঘটে। এসময় তারা আত্মহ’ত্যার চেষ্টা করলে র’ক্তাক্ত অবস্থায় কর্তৃপক্ষ তাদেরকে উ’দ্ধার করে হাসপাতা’লে নিয়ে আসেন।

আত্মহ’ত্যার চেষ্টা করা চার তরুণী হলেন- কলি বেগম (২১), পপি আক্তার (২২), সুহাদা আক্তার তান্নি (১৬), সুলতানা আক্তার লিজা (২২)।

তাদের অ’ভিযোগ, ‘প্রশিক্ষক ও স্টোরের দায়িত্বে থাকা দেলোয়ার হোসেন ও অফিস সহকারী আনোয়ারা বেগম তাদের উপর নি’র্যা’তন করেন। এমনকি ঘটনা দিন সকাল ১১ টার দিকে প্রশিক্ষক দেলোয়ার হোসেন তাদের সাথে খা’রাপ আচরণ করেছেন। দীর্ঘদিনের নি’র্যা’তন-অ’পমান সহ্য করতে না পেরে তারা আত্মহ’ত্যার চেষ্টা করেন।’

সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ওসমানী হাসপাতা’লের ক্যাজুয়ালটি বিভাগে গেলে দেখা যায় চার তরুণী চিকিৎসাধীন আছেন। এসময় কলি বেগম অ’ভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে তাদেরকে শারীরিক এবং মানসিক নি’র্যা’তন করা হয়। দেলোয়ার এবং আনোয়ারা মিলে নি’র্যা’তন করেন। মাঝে মাঝে অফিস সহকারী আনোয়ারা তাদেরকে জুতাপে’টাও করেন। এদিন সকালে খাবার নিয়ে প্রশিক্ষক দেলোয়ার তাদেরকে খা’রাপ কথাবার্তা বললে তারা আত্মহ’ত্যার চেষ্টা করেন।

চার তরুণী আরও জানান, মোট ৩৮ তরুণী ও ২ শি’শু মিলে সামাজিক প্রতিব’ন্ধী মে’য়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের মোট বাসিন্দা ৪০ জন। এদের মধ্যে কিছুদিন আগে তাদের সাথের এক তরুণী বিষপান করে আত্মহ’ত্যা করেন। ওই তরুণীর শিরনী হবে শুক্রবার। মূলত এ শিরনী নিয়েই বকাঝকা করেন দেলোয়ার।

তবে অ’ভিযু’ক্ত প্রশিক্ষক ও স্টোরের অ’তিরিক্ত দায়িত্বে থাকা দেলোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ওই প্রশিক্ষণার্থীরা সামন্য কিছু হলেই হাত কে’টে ফেলেন। এর আগেও একাধিকবার তারা নিজেরাই হাত কে’টে ফেলে। আমি মাত্র পাঁচ দিন ধরে ঊর্ধ্বতন কর্মক’র্তাদের নির্দেশে স্টোরের অ’তিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। এর আগে আনোয়ারা বেগম অ’তিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতেন। প্রশিক্ষণার্থীদের বুঝিয়ে বলা হয়েছিল শিরনির জন্য অ’তিরিক্ত কোনো বরাদ্দ নেই স্টোরে যা বরাদ্দ সেগুলো দিয়েই রান্না করা হবে। কিন্তু তারা সেগুলো শুনতে চায়নি। তাই তারা কোন কারণ ছাড়াই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।

অ’পরদিকে অ’পর অ’ভিযু’ক্ত এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অফিস সহকারী আনোয়ারা বেগমের মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী ব্যবস্থাপক লুৎফর রহমানের ব্যবহৃত মুঠোফোনে অন্তত ১৫ বার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: